আজমিরীগঞ্জে পুর্ব বিরোধ ও আধিপত্য বিস্তারের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে উভয়পক্ষের নারীসহ ২০ জন আহত হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘঠণাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহযোগীতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানাগেছে।
তাৎক্ষণিক প্রাপ্ত আহতদের মধ্যে রয়েছেন, রিপন মিয়া (৩০),তারেক মিয়া (১৯),ফারুক মিয়া(২৮),মাসুম মিয়া(১৮),কামরান মিয়া(১৫),আব্দুল হান্নান মিয়া(৫৫),মোঃসাইফুল মিয়া (২০),হালিম মিয়া(১৯),টেনু মিয়া(৫০),নুরুল আমিন (৩৮),জিরন মিয়া (১৫),তাজন নেসা(৪০),আক্তার নেসা(৩০),জজ মিয়া(৪৭),সনিয়া আক্তার (২২),সুহেল মিয়া(৩৬) ও উভয়পক্ষের নারীসহ ২০ জন।
বৃহস্পতিবার ( ৮ মে) দুপুর আনুমানিক ১২ টায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিরাট উজান পাড়ার রাজাহাটী গ্রামের জজ মিয়া ও বাঁশহাটিয়া গ্রামের মুজিবর রহমান ওরফে মজু মেম্বার সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, বিগত মাসখানেক পুর্বে মজু মেম্বারের ভাতিজাকে জজ মিয়ার লোকজন মহিষ চুরির বিষয় নিয়ে আটক করে থানায় দেয়। বিষয়টি স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় সালিশে নিষ্পত্তিও করা হয়৷
এরই জের ধরে গত মঙ্গলবার মজু মেম্বারের লোকজন জজ মিয়ার পক্ষের একজনকে মারধোর করে। এর পরদিন বুধবার জজ মিয়ার লোকজন মজু মেম্বারের একজনকে ধান শুকানোর মাঠে মারধোর করে৷ বিষয়টি নিয়ে বুধবার রাতে উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার দুপুরে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে উভয়পক্ষের নারী সহ ২০ জন আহত হন। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের বেশ কযেককটি বাড়িঘর ভাঙ্গচুর করা হয়।
আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.শফিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পুনরায় যেন সংঘর্ষের পুনরাবৃত্তি না হয় সেজন্য সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।