যুক্তরাষ্ট্রের নিউ অরলিন্সের একটি কারাগার থেকে গত শুক্রবার রাতে ১০ জন বন্দী পালিয়ে গেছে। স্থানীয় শেরিফের কার্যালয় জানিয়েছে, বন্দীরা টয়লেটের পেছনের একটি ছিদ্র ব্যবহার করে প্রাচীর টপকে পালিয়ে যায়। বন্দীদের সেল ব্লকের একমাত্র প্রহরী খাবার আনতে গিয়েছিলেন, সেই ফাঁকেই এই ঘটনা ঘটে।
সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, কমলা ও সাদা পোশাকের কয়েকজন বন্দী দৌড়ে পালাচ্ছে। কাঁটাতারের বেড়া টপকানোর জন্য তারা কম্বল ব্যবহার করে। এরপর কিছু বন্দীকে সড়ক পেরিয়ে একটি আবাসিক এলাকার দিকে পালাতে দেখা যায়। পালানোর পরপরই কারা কর্তৃপক্ষ জানতে পারে যে, ওই সেল ব্লকে কোনো নিরাপত্তা প্রহরী ছিল না, ছিলেন একজন টেকনিশিয়ান, যিনি খাবার আনতে বাইরে গেলে বন্দীরা পালিয়ে যায়।
স্থানীয় শেরিফ সুসান হাটসন জানিয়েছেন, পালানোর ঘটনায় অভ্যন্তরীণ সহযোগিতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। ‘ত্রুটিপূর্ণ তালা’ এবং কারাগারের দুর্বল নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। পালিয়ে যাওয়া বন্দীদের মধ্যে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত আসামিও রয়েছে।
কারাগারটির দুর্বল অবকাঠামো এবং নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ রয়েছে। নজরদারি ফুটেজে দেখা যায়, বন্দীরা টয়লেটের পেছনে তৈরি করা একটি ছিদ্র দিয়ে পালিয়েছে, যেখানে একটি তীর চিহ্ন দিয়ে লেখা ছিল ‘To Easy LoL’।
কারাগার থেকে পালানোর পর ২০ বছর বয়সী কেন্ডাল মাইলস নামে একজন বন্দীকে দ্রুত আটক করা হয়, যিনি ইতোমধ্যে কিশোর আটক কেন্দ্র থেকে দুবার পালিয়েছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় আরও দুজন বন্দীকে আটক করা হয়েছে, তবে সাতজন এখনো পলাতক।
শেরিফের কার্যালয় জানিয়েছে, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিন কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। কারাগারটি ফেডারেল নজরদারিতে থাকলেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন উঠেছে। ২০১৫ সালে দেশটিতে নতুন কারাগার চালু হওয়ার পরও প্রায়ই বন্দি পালানোর ঘটনা এবং নিরাপত্তা ঘাটতির কথা শোনা যায়।