টানা বৃষ্টি ও উজান থেমে নেমে আসা ঢলে সিলেটের বিভিন্ন নদী ও হাওরের পানি দ্রুত বাড়ছে। এরমধ্যে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর ৬টি পয়েন্টের মধ্যে চারটি পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। রবিবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
পাউবো জানায়, সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর চারটি পয়েন্টে আজ সকাল ও দুপর থেকে বিপৎসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এরমধ্যে সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ১২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটারের মধ্যে ও বিকেল ৩টায় ১৩ দশমিক ৫৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। যা বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৮৩ সেন্টিমিটার উপর। একইভাবে কুশিয়ারার অমলশীদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৫ দশমিক ৪০ সেন্টিমিটারের মধ্যে ১৬ দশমিক ৮৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। যা বিপৎসীমার ১ দশমিক ৪৩ সেন্টিমিটার উপর। একই নদীর শেওলা পয়েন্টে ১৩ দশমিক ০৫ এর মধ্যে ১৩ দশমিক ২২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। যা বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ১৭ সেন্টিমিটার বেশি ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ৯ দশমিক ৪৫ এর মধ্যে ৯ দশমিক ৪৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। এছাড়া সুরমা নদীর সিলেট পয়েন্টে ১০ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটারের মধ্যে আজ বিকেল ৩টায় ১০ দশমিক ৩৬, শেরপুরে ৮ দশমিক ৫৫ এর মধ্যে ৮ দশমিক ২০ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একইভাবে সিলেটের সারি, গোয়াইন, ধলাই, ডাউকি, সারি-গোয়াইন নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে সিলেটে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪০৪ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে সিলেট আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন জানান, রোববার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ১৪ মিলিমিটার ও ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ১৩ দশমিক ৬ ও ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত ২ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।