এপ্রিলে নির্বাচন হওয়ার কথাটি ‌‘এপ্রিল ফুল’ হতে পারে বলে মন্তব্য করেছে ১২ দলীয় জোট। দলটি বলছে, এপ্রিল ফুলের শিকার হওয়ার জন্য নয়, জনগণ ভোটাধিকার ফিরে পেতে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে বিদায় করেছে।

গতকাল শুক্রবার নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন দলটির নেতৃবৃন্দ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, কেবল একটি দল নয়, দেশের সকল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল এ বছরের ডিসেম্বরে নির্বাচন চায়। এপ্রিলে নির্বাচন হওয়ার কথাটি এপ্রিল ফুল হতে পারে। সে সময় শিক্ষার্থীদের সাধারণ পরীক্ষা থাকে, আবহাওয়া নির্বাচনের অনুকূল থাকে না। সুতরাং রাজনৈতিক ও গণদাবি মেনে ডিসেম্বরেই নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচন কমিশনকেও সেই প্রস্তুতি নিতে হবে।

বিবৃতিতে তারা আরো বলেন, এপ্রিলে নির্বাচন মানে রমজানের কিছুদিন পর। রমজানে নির্বাচনের কাজ করার সুযোগ নেই। একদিকে কালবৈশাখী, একদিকে চৈত্রের খরা। পাশাপাশি সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, কাকে খুশি করার জন্য অধ্যাপক ইউনূস ডিসেম্বর থেকে সরিয়ে এপ্রিলে নির্বাচন করতে চাইছেন।

বিদেশিদের হাতে বন্দর তুলে দেওয়ার প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের বিষয়ে তারা আরো বলেন, এই বক্তব্য সরকারপ্রধান হিসেবে তিনি দিতে পারেন না। তিনি নিজের যোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ফেলেছেন। বন্দর ব্যবস্থাপনার প্রথম দাবিদার দেশের মানুষ। দেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নেবে, কাদের দিয়ে ব্যবস্থাপনা করা হবে। তার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে প্রশ্ন উঠল, আদৌ প্রফেসর ইউনূস বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করছেন কিনা।

ঈদের পর প্রধান উপদেষ্টার রাজনৈতিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে উল্লেখ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, তিনি (ড. ইউনূস) প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করবেন কিনা, সে বিষয়টিও দেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নেবেন।

তারা আরো বলেন, আগামী ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন করা সম্ভব। দেশের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকেও নানাভাবে বিষয়টি সামনে এসেছে। আমরা চাই দেশের জনগণের দীর্ঘদিনের চাওয়া তিনি পূরণ করবেন।