বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি :
দেশের বৃহত্তম জলপ্রপাত ও ইকোপার্ক মাধবকুণ্ডে ঈদের ছুটিতে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ঈদের পরের চার দিন ধরে এই পর্যটন এলাকা ছিল মুখরিত। তবে দূরদূরান্ত থেকে আসা পর্যটকরা কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবি জানিয়েছেন—শিশু পর্যটকদের জন্য বিনোদনের উপযুক্ত ব্যবস্থা ও নিরাপত্তা জোরদার করার।
মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতটি মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার কাঁঠালতলী বাজার থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার পূর্বে পাহাড়ি আঁকাবাঁকা রাস্তা অতিক্রম করে অবস্থিত। সারা বছরই পর্যটকদের আনাগোনা থাকলেও ঈদ ও অন্যান্য সরকারি ছুটিতে এই স্থান ভরে ওঠে হাজারো পর্যটকে।
পর্যটকরা জানান, তারা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বেড়াতে এলেও শিশুদের জন্য আলাদা কোনো বিনোদনের ব্যবস্থা না থাকায় তারা আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়। এতে শিশুদের মন খারাপ হয় এবং বেড়ানোর আনন্দ কিছুটা ম্লান হয়ে যায়। তাই পর্যটন কেন্দ্রটিতে শিশুদের জন্য দোলনা, খেলাধুলার জায়গা ও অন্যান্য বিনোদনের ব্যবস্থা করার দাবি জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও আরও জোরদার করার আহ্বান জানান তারা।
এছাড়া পর্যটকদের অভিযোগ, মাধবকুণ্ড এলাকায় থাকার মতো ভালো মানের হোটেল বা খাবার ব্যবস্থা নেই। জেলা পরিষদের ডাকবাংলো থাকলেও সেখানে শুধুমাত্র ভিআইপিদের থাকার অনুমতি থাকে। ফলে সাধারণ পর্যটকদের থাকার জন্য পর্যাপ্ত ও মানসম্মত আবাসনের অভাব রয়েছে, যা তাদের ভোগান্তির কারণ হয়।
জানা গেছে, বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর ২০১২ সালে বড়লেখা উপজেলার তৎকালীন নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম শিশুদের জন্য দোলনা ও বিভিন্ন পশুপাখির ভাস্কর্য স্থাপন করেছিলেন। কিন্তু সেগুলোর অধিকাংশই এখন লতাপাতায় ঢাকা পড়ে গেছে, ভাস্কর্যগুলোর রং ম্লান হয়ে গেছে ও অবহেলায় পড়ে রয়েছে।
মাধবকুণ্ড পর্যটনে দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্যুরিস্ট পুলিশের এএসআই সুমন সিংহ বলেন, “পর্যটকদের নিরাপত্তায় আমরা সর্বোচ্চ দায়িত্ব পালন করছি। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি, ভবিষ্যতেও না ঘটার জন্য আমরা সতর্ক রয়েছি।”
পর্যটকরা দ্রুত সময়ের মধ্যে শিশুদের জন্য বিনোদনের ব্যবস্থা, পর্যাপ্ত আবাসন সুবিধা ও নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে।