সিঙ্গাপুরের কাছে ২-১ গোলে হেরে এশিয়ান কাপ খেলতে যাওয়ার পথে বড় ধাক্কা খেয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু এই হারে বাংলাদেশের সব আশা শেষ হয়ে গেছে—এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই। ২০২৭ সালের এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলতে এখনো সুযোগ আছে জামাল ভূঁইয়াদের সামনে। তবে সে সুযোগ কাজে লাগাতে হলে বাকি সব ম্যাচেই জিততে হবে, আর প্রতিপক্ষদের কিছু ম্যাচে হোঁচট খাওয়ার প্রার্থনাও করতে হবে।

এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডে ২৪টি দল ৬টি গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলছে। প্রতিটি গ্রুপের শীর্ষ দলই সুযোগ পাবে সৌদি আরবে অনুষ্ঠিতব্য মূল পর্বে। ‘সি’ গ্রুপে বাংলাদেশের সঙ্গী ভারত, সিঙ্গাপুর ও হংকং। দুই ম্যাচ শেষে পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে সিঙ্গাপুর, দ্বিতীয় স্থানে হংকং—দুজনেরই পয়েন্ট ৪ করে। বাংলাদেশ ও ভারতের পয়েন্ট ১ করে, তবে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় বাংলাদেশ আছে তিনে, ভারত চার নম্বরে।

এই অবস্থায় বাংলাদেশের সামনে একটাই রাস্তা খোলা—বাকি চার ম্যাচেই জয়। তখন দলের মোট পয়েন্ট দাঁড়াবে ১৩। তবে ১৩ পয়েন্ট হলেই চূড়ান্ত পর্ব নিশ্চিত নয়। কারণ, প্রতিপক্ষদের কেউ যদি ১৩ পয়েন্ট অর্জন করে, তাহলে গোল ব্যবধানের লড়াইয়ে যেতে হবে। তাই শুধু জয় নয়, বড় ব্যবধানে জয়ও জরুরি—বিশেষ করে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে।

প্রতিপক্ষদের সম্ভাব্য চিত্রও বাংলাদেশ দলের সামনে পরিষ্কার। হংকংয়ের বর্তমান পয়েন্ট ৪। যদি তারা বাংলাদেশের কাছে দুই ম্যাচেই হারে, এবং বাকি দুটি ম্যাচে (ভারত ও সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে) জয় পায়, তাহলেও তাদের সর্বোচ্চ পয়েন্ট হবে ১০। সিঙ্গাপুরের ক্ষেত্রেও একই ছবি—বাংলাদেশের কাছে হারলেও যদি ভারত ও হংকংয়ের বিপক্ষে বাকি তিন ম্যাচে জেতে, তাহলে তাদের পয়েন্ট দাঁড়াবে ১৩। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে পয়েন্ট সমান হলেও গোল ব্যবধান হয়ে উঠবে নির্ধারক। ভারতের এখন পয়েন্ট ১। যদি তারা বাংলাদেশ ম্যাচে হার মানে, তাহলে তাদের সর্বোচ্চ পয়েন্ট দাঁড়াবে ১০।

সব মিলিয়ে, বাংলাদেশ দলের ভাগ্য এখনো নিজেদের হাতেই। যদি বাকি চার ম্যাচেই জয় আসে, বিশেষ করে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে জয়, তাহলে ২০২৭ সালের এশিয়ান কাপে খেলার দরজা এখনো খোলা। এমন নয় যে পথটা সহজ, কিন্তু এখনো সেটা বন্ধ হয়ে যায়নি। এখন দরকার দৃঢ় মনোবল, গোছানো পরিকল্পনা এবং মাঠে নিখুঁত বাস্তবায়ন।

বাংলাদেশের বাকি চারটি ম্যাচ যথাক্রমে ৯ ও ১৪ অক্টোবর হংকংয়ের বিপক্ষে (একটি ঢাকায়, একটি হংকংয়ে), ১৮ নভেম্বর ঢাকায় ভারতের বিপক্ষে এবং ৩১ মার্চ ২০২৬ সিঙ্গাপুরের মাঠে।