সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুর্ঘটনায় একজন নিহত ও অপর একজন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুরের দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রুম্মান আহমদ টেকনিশিয়ান হিসেবে আউট সোর্সিংয়ে ওসমানী বিমানবন্দরে কাজ করতেন। তার বয়স মাত্র ২৩ বছর। বাড়ি নগরীর বিমানবন্দর থানার খাদিমনগর ইউনিয়নের সাহেববাজার এলাকার লুসাইন গ্রামে। তার বাবার নাম আব্দুল কাদির।
আহত অপর টেকনিশিয়ানের নাম এনামুল। তার বাড়ি বিমানবন্দর থানার মহালদিগ গ্রামে।
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক হাফিজ আহমদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, কয়েকজন কর্মী বোর্ডিং ব্রিজের সিঁড়ির চাকাটি মেরামত করছিলেন। হঠাৎ চাকা বিস্ফোরিত হয় এবং দুই কর্মী গুরুতর আহত হন।
দ্রুত তাদেরকে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর গুরুতর অবস্থায় রোমানকে আইসিইউতে ভর্তির প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। সেখানে আইসিইউর সিট খালি না পাওয়ায় তাকে নিয়ে যাওয়ায় হয় রাগীব রাবেয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। কিন্তু সেখানে আইসিইউতে ভর্তিতে ১০/১৫ মিনিট দেরী হয় বলে জানিয়েছেন রুম্মানের চাচা আব্দুল কাইয়ুম। এরমধ্যেই বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
গুরুতর আহত আরেক টেকনিশিয়ান ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বিমানবন্দরের পরিচালক দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখার কথাও জানিয়েছেন। বলেছেন, ‘ঘটনাটি অবশ্যই দুঃখজনক। এতে বিমান বা বিমানবন্দরের কোনো ক্ষতি হয়নি। আমরা পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখবো। এটা ছিল একটা রুটিন কাজ।
এদিক নিহত রুম্মানের চাচা আব্দুল কাইয়ুম জানিয়েছেন, তারা ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করতে চান। এখন তারা ওই প্রক্রিয়ায় আছেন।