লিওনেল মেসির ব্যক্তিগত দেহরক্ষী ইয়াসিন চুকোকে লিগস কাপে শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে টুর্নামেন্টের বাকি অংশ থেকে বহিষ্কার করেছে আয়োজক কমিটি। একই সঙ্গে ইন্টার মায়ামিকে দেওয়া হয়েছে অঘোষিত পরিমাণ অর্থদণ্ড। এরআগেও চলতি বছরের শুরুতেই এমএলএস থেকে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন চুকো।
ঘটনাটি ঘটে গত বুধবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ফোর্ট লডারডেলের চেজ স্টেডিয়ামে। আটলাসের বিপক্ষে ম্যাচ শেষ হতেই দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় শুরু হলে হঠাৎ মাঠে ঢুকে পড়েন চুকো। পরিস্থিতি সামলাতে গিয়ে তিনি আটলাসের কয়েকজন খেলোয়াড়ের সঙ্গে শারীরিক সংস্পর্শে আসেন।
দিনের প্রায় ২৪ ঘণ্টাই লিওনেল মেসির নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন দেহরক্ষী ইয়াসিন চুকো। ফুটবল মাঠে মেসির নিরাপত্তা শংকট দেখলেই ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। এ জন্য চলতি বছরের শুরুতেই এমএলএস থেকে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন চুকো। এবার লিগস কাপেও নিষিদ্ধ হলেন তিনি। সূত্রের বরাত দিয়ে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে ফুটবল ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইএসপিএন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বুধবার রাতে আটলাসের বিরুদ্ধে ম্যাচ শেষে দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে উত্তপ্ত বিতণ্ডা চলছিল। সেই সময় মাঠে প্রবেশ করেন মেসির দেহরক্ষী ইয়াসিন চুয়েকো এতে উত্তেজনা আরও বাড়ে। এরপর আটলাসের খেলোয়াড়রা এই ঘটনার প্রতিবাদ জানান এবং ম্যাচ শেষে বিষয়টি শৃঙ্খলা কমিটির কাছে তুলে ধরেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে, লিগস কাপের শৃঙ্খলা কমিটি মেসির ক্লাব ইন্টার মায়ামির একজন সদস্যকে টুর্নামেন্টের বাকি অংশে সব ধরনের টেকনিক্যাল এরিয়ায় প্রবেশ করতে নিষেধ করেছে। পরবর্তীতে জানা যায়, নিষিদ্ধ হওয়া ক্লাব প্রতিনিধি দলের সদস্য আর কেউ নয় স্বয়ং লিওনেল মেসির দেহরক্ষী ইয়াসিন চুয়েকো।
শৃঙ্খলা কমিটির পক্ষ থেকে প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৩০ জুলাই ইন্টার মায়ামি ও আটলাসের ম্যাচ শেষে ইয়াসিন চুয়েকো পরিচয়পত্র ছাড়া নিষিদ্ধ এলাকায় প্রবেশ করেন এবং নিয়মবহির্ভূত আচরণ করেন। এর ফলে, মায়ামির উপর অর্থদণ্ডও আরোপ করা হয়েছে তবে সেই অঙ্কটি প্রকাশ করা হয়নি।
আটলাসের ডিফেন্ডার দোরিয়া মন্তব্য করেছেন, আমরা জানি আমাদের পরিচালনা পর্ষদ খুব ভালোভাবে কাজ করে এবং তারা বিষয়টি সামলাবে। আমি বুঝি, মেসিকে মাঠে ঢুকে পড়া কোনো ভক্তের হাত থেকে বাঁচাতে তার দেহরক্ষী সেখানে উপস্থিত থাকেন। তবে খেলোয়াড়দের বিষয়ে তার নাক গলানোর অনুমতি নেই।