ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টের ফাইনাল আগেই নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের। গ্রুপের শেষ কয়েকটা ম্যাচ তাই নিয়ম রক্ষার বলাই যায়। দক্ষিণ আফ্রিকার যুবাদের বিপক্ষে আজ তেমনি এক ম্যাচ খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ।
নিয়ম রক্ষার হলেও কোনো ছাড় দেয়নি বাংলাদেশ।
হারারেতে ১২৩ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে আজিজুল হাকিম তামিমের নেতৃত্বাধীন দল। জয় নিশ্চিত করার আগে অবশ্য ব্যাটিং ধসে পড়েছিল বাংলাদেশ। তবে লক্ষ্যটা ১৪৮ রানের হওয়ায় পরে সহজ জয়ই পেয়েছে বাংলাদেশ।
ছোট্ট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার বায়ান্দা মাজোলার তোপে পড়ে বাংলাদেশ।
তাতে ৬৮ রানে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। যার ৪টিই নেন প্রোটিয়া পেসার। তার তোপের মুখে এক প্রান্ত আগলে রেখে আউট হওয়ার আগে ৪৩ রান করেন ওপেনার রিফাত বেগ।
সেখান থেকে বাংলাদেশকে জয় এনে দেন মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ও সামিয়ুন বশির।
আর কোনো উইকেট পড়তে না দিয়ে ৫ উইকেটের জয় এনে দেন তারা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৫২ রান করেন বশির। অন্যদিকে ২০ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন আবদুল্লাহ।
এর আগে হারারেতে জয়ের অর্ধেক কাজ সারেন বাংলাদেশের বোলাররা। প্রোটিয়াদের মাত্র ১৪৭ রানে অল আউট করে।
বোলিংয়ে নেতৃত্ব দেন সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেওয়া সনজিদ মজুমদার। দলীয় ২১ রানে প্রতিপক্ষের ওপেনার জরিক ফন স্কালভেইককে (৫) আউট করে ইকবাল হোসেন ইমন উইকেট উদযাপনের শুরুটা করলেও দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং অর্ডার ধসিয়ে দেন বাঁহাতি স্পিনার সনজিদই।
সনজিদের ঘূর্ণিতেই ৮২ রান পেরোনোর আগেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসে দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ পর্যন্ত দেড়শ ছুঁই ছুঁই স্কোরটা পায় বান্দিলে এমবাথার সৌজন্যে। শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে সর্বোচ্চ ৩৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন পল জেমস। অন্যদিকে ২ করে উইকেট নিয়ে বোলিংয়ে সনজিদকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন আল ফাহাদ ও বশির।
এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১ উইকেটের রুদ্ধশ্বাস জয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল বাংলাদেশ। তবে প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ফিরতি ম্যাচেই হেরেছিল যুবারা। এবার সেই হারের প্রতিশোধ যেন নিল। মাঝে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুটি ম্যাচই জিতেছে। আগামী পরশু গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে কোনো জয় না পাওয়া জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মুখোমুখি হবে পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে থাকা বাংলাদেশ। আর ফাইনাল হবে আগামী ১০ আগস্ট, প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা।