বর্তমানে ইন্টারনেটের যুগ। সোশ্যাল মিডিয়া মানুষের জীবনের নিত্যসঙ্গী। এখন মানুষের সামাজিক মর্যাদা নির্ধারিত হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ‘লাইক আর কমেন্ট’ মানুষের আত্মস্বীকৃত আত্মমর্যাদা গড়ে তোলে।
তবে এসবের ভিড়ে একেবারেই আলাদা বলিউড ডিভা ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। তার মতে, আত্মমর্যাদা নিজের ভেতরের বিষয়। সাবেক এই মিস ওয়ার্ল্ড জানান, তাঁর আত্মসম্মান কোনোভাবেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত নয়।
একটি প্রসাধনী ব্র্যান্ডের ‘লেসনস অব ওর্থ’ সিরিজের নতুন ভিডিওতে ঐশ্বরিয়া নিজের আত্মসম্মান নিয়ে মতামত জানিয়েছেন।
সেখানে তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কিভাবে মানুষের আত্মমূল্যায়নকে প্রভাবিত করছে এবং তা ক্রমশই বেড়ে চলেছে। অনেকেই লাইক আর কমেন্টের ওপর ভরসা করে স্বীকৃতি পেতে চান। কিন্তু সত্যিকারের মূল্যবোধ অনলাইন অনুমোদনের ওপর নির্ভর করা উচিত নয়।
অভিনেত্রী হিসেবে নয়, একজন মা হিসেবেও তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁর মতে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আর সামাজিক চাপের মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য নেই। তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে প্রাপ্তবয়স্করাও এতে প্রভাবিত হন, যা একেবারেই গুরুতর উদ্বেগের বিষয়।
ঐশ্বরিয়া মানুষকে অনুরোধ করেছেন অনলাইনে স্বীকৃতি খোঁজা বন্ধ করতে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, আত্মসম্মান মানুষের ভেতর থেকেই আসে, বাইরে থেকে নয়। সচেতনভাবে নিজের ভেতরে উত্তর খুঁজে নিতে হবে।
ভিডিওটির শেষে তিনি দর্শকদের আশ্বস্ত করে বলেন, ‘তোমরা এর যোগ্য’ এবং তা ভেতর থেকে বিশ্বাস করতে হবে।
অভিনেত্রীর এই বার্তা ভক্তদের মনে দারুণ সাড়া ফেলেছে। এক ভক্ত লিখেছেন, ‘আমি চাই পৃথিবীর অর্ধেক মানুষও যদি তাঁর কথাগুলো বুঝতে পারত।’ আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ‘খুব সুন্দর কথা বলা হয়েছে। আর সেটা এসেছে ঐশ্বরিয়ার মতো একজনের কাছ থেকে।’ অনেকেই তাঁকে ‘কুইন’ আখ্যা দিয়েছেন, আবার কেউ তাঁর সৌন্দর্যের প্রশংসাও করেছেন।
ঐশ্বরিয়াকে সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল মানি রত্নম পরিচালিত ‘পোন্নিয়িন সেলভান’–এ। এখনো তিনি নিজের পরবর্তী কোনো প্রজেক্ট ঘোষণা করেননি। গত বছর স্বামী অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে বিচ্ছেদের গুঞ্জন ছড়ালেও, মুম্বাইয়ে মেয়েকে নিয়ে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে দম্পতি সেই খবরকে ভুল প্রমাণ করেন।