কোম্পানীগঞ্জের সিরাজুল ইসলাম (চেরাগ আলী)। তবে উপজেলা জুড়ে তিনি চেরাগ আলী নামেই বেশি পরিচিত। ইউপি সদস্য চেরাগ আলীর বাড়ি উপজেলার উত্তর কলাবাড়ি গ্রামে। ইউপি সদস্য থেকে তিনি এখন ব্যবসায়ীদের কাছে আতঙ্ক হিসেবে পরিচিত। কী এমন চেরাগ রয়েছে ইউপি সদস্য চেরাগ আলীর হাতে- এমন প্রশ্নে ভুক্তভোগীরা জানান, পাথরকাণ্ডে বদলী হওয়া ইউএনও ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার প্রত্যক্ষ প্রশ্রয়ই ছিল চেরাগ আলীর চেরাগ। সেই চেরাগ বলেই তিনি ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে টাকা আদায় করছেন। অভিযোগ রয়েছে, চেরাগ আলী নিজে কখনো ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করতেন না। চেরাগ আলীর পক্ষে টাকা আদায় করতেন সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও পাথর ব্যাবসায়ী হাজি আমিনুল ইসলাম।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা জানান, সাদাপাথর লুটের পর থেকে প্রশাসনের নিয়মিত অভিযান চলছে কোম্পানীগঞ্জে। ফলে পাথর ব্যবসায়ীরা মধ্যে এমনিতেই বিরাজ করছে অভিযান আতঙ্ক। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে, চেরাগ আলী এবং হাজি আমিনুল ইসলাম প্রতারণার ফাঁদ পেলে। এরই অংশ হিসেবে অভিযানের নাম করে ভয় দেখানো হয় স্থানীয় পাথর ব্যবসায়ীদের। ব্যবসায়ীরাও ভয়ে অভিযান থেকে নিজেদের পাথর রক্ষায় চেরাগ আলী গংদের নির্ধারিত টাকা প্রতান করতে বাধ্য হন। এভাবেই পাথর ব্যাবসায়ী জালাল আহমেদ এর কাছ থেকে অভিযান এর নাম করে গ্রহণ করা হয় ৫০ হাজার টাকা।
অভিযোগ এখানেই শেষ নয়। আল্লাহর দান ক্রাসার এর মালিক রফিক ইসলামের কাছ থেকে গ্রহণ করা হয় ২০ হাজার টাকা। চাচা ভাতিজা স্টোন ক্রাসার এর মালিক নুর আলম এর কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা। তার উপর পাথর সাইট থেকে ট্রাক প্রতি টাকা আদায় করারও অভিযোগ রয়েছে চেরাগ গংদের উপর।
স্থানীয়রা জানান, সুলতান মুল্লার বাড়ির সাথে একটি লোডিং পয়েন্ট থেকে ট্রাক প্রতি ৫ শত টাকা করে দিতে হয় চেরাগ বাহিনীকে। ব্যবসায়ীরা চেরাগ আলী গংদের জিম্মিদশা থেকে নিজেদের রক্ষায় প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।