আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টির গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। এই জয়ের ফলে শুধু লঙ্কানরাই নয়, বাংলাদেশও জায়গা করে নিয়েছে সুপার ফোরে। অন্যদিকে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হয়েছে আফগানিস্তানকে।
সুপার ফোরের হিসাব
শ্রীলঙ্কা ১০১ রান করার পরই তাদের সুপার ফোর নিশ্চিত হয়ে যায় রানরেটের হিসাবে। এরপর ম্যাচটি দাঁড়িয়ে যায় বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তানের ভাগ্যের লড়াইয়ে। আফগানিস্তান জিতলে তারা যাবে শেষ চারে, আর হারলে সুযোগ পাবে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত লঙ্কানদের জয়ে বাংলাদেশও উঠে গেছে সুপার ফোরে।
আফগানিস্তানের ব্যাটিং: নবির ঝড়ো ইনিংস
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তান তোলে ৮ উইকেটে ১৬৯ রান।
ইনিংসের শেষ দিকে ভয়ংকর হয়ে ওঠেন মোহাম্মদ নবি।
১৯তম ওভারে দুশমন্ত চামিরাকে তিন বলে তিন বাউন্ডারি হাঁকান।
শেষ ওভারে দুনিথ ওয়াল্লালাগের প্রথম পাঁচ বলে হাঁকান টানা পাঁচ ছক্কা।
২২ বলে ৬০ রানের বিস্ফোরক ইনিংসে তিনি মারেন ৩টি চার ও ৬টি ছক্কা। আফগানিস্তানকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সংগ্রহ এনে দেন এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার।
এর আগে আফগানিস্তানের টপ অর্ডার ব্যর্থ হয়।
গুরবাজ (১৪) ও করিম জানাত (১) দ্রুত ফিরেন।
সেদিকুল্লাহ অতল ১৮ রান করলেও নুয়ান তুষারার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন।
আফগানিস্তান ৭৯ রানে হারায় ৬ উইকেট।
কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন ইব্রাহিম জাদরান (২৪) ও রশিদ খান (২৪)। তবে নবির ইনিংসই দলকে টেনে নেয় ১৬৯ রানে।
শ্রীলঙ্কার বোলিং হাইলাইটস
নুয়ান তুষারা ১৮ রানে নেন ৪ উইকেট।
দুশমন্ত চামিরা ও দুনিথ ওয়াল্লালাগে প্রত্যেকে নেন ১টি করে উইকেট।
লঙ্কানদের রান তাড়া
১৭০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শ্রীলঙ্কা শুরুটা আক্রমণাত্মক করে।
পাথুম নিশাঙ্কা (৬) ও কামিল মিশরা (৪) দ্রুত আউট হন।
তবে কুশল পেরেরা (২৮) ও কুশল মেন্ডিস জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নেন।
কুশল মেন্ডিস এক প্রান্ত ধরে খেলে তুলে নেন অপরাজিত ৭৪ রান (৫২ বলে, ১০ চার)। তাকে দারুণ সঙ্গ দেন কামিন্দু মেন্ডিস, যিনি মাত্র ১৩ বলে করেন অপরাজিত ২৬ রান।
লঙ্কানরা শেষ পর্যন্ত ১৮.৪ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।
ম্যাচের সারসংক্ষেপ
আফগানিস্তান: ৮ উইকেটে ১৬৯ (নবি ৬০, রশিদ ২৪, তুষারা ৪/১৮)
শ্রীলঙ্কা: ৪ উইকেটে ১৭০ (কুশল মেন্ডিস ৭৪, কামিন্দু ২৬)
ফলাফল: শ্রীলঙ্কা ৬ উইকেটে জয়ী
প্রভাব: সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ, বিদায় আফগানিস্তান।
এই জয়ে শুধু শ্রীলঙ্কাই নয়, বাংলাদেশ ক্রিকেটও বড় স্বস্তি পেয়েছে। আফগানিস্তান জয় পেলে বাংলাদেশের টুর্নামেন্ট যাত্রা শেষ হয়ে যেত। তবে শেষ পর্যন্ত লঙ্কানদের নিয়ন্ত্রিত ব্যাটিং এবং নবির ইনিংস সত্ত্বেও কার্যকর বোলিং বাংলাদেশকে সুপার ফোরে জায়গা করে দিয়েছে।