সুন্দর ও ঝকঝকে সাদা দাঁত কে না চায়? দাঁতের সৌন্দর্যে আরো সুন্দর হয় হাসি। কিন্তু অনেক সময় বিভিন্ন কারণে দাঁতে হলুদ দাগছোপ পড়ে। যা বেশ অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই শুধু বাহ্যিক সৌন্দর্য নয়, সার্বিকভাবে দাঁতের স্বাস্থ্য ঠিক রাখা খুবই জরুরি।
দাঁতের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো এক ধরনের হলুদ বা বাদামি রঙের প্রলেপ পড়া। যাকে দাঁতে পাথর পড়া অর্থাৎ ইংরেজিতে টার্টার বা ক্যালকুলাস বলা হয়। মূলত আমাদের মুখের ভেতর জীবাণু, খাদ্য কণা আর থুতুর মধ্যে থাকা প্রোটিন একসঙ্গে মিলে তৈরি করে প্লাক। এই প্লাকই ঠিকমতো পরিষ্কার না করলে খনিজের সঙ্গে মিশে স্তরের ওপর স্তর তৈরি করে।
আর এটিই শক্ত হয়ে ক্যালকুলাস বানায়।
দাঁতের উজ্জ্বলতা কমে যাওয়া আজকাল খুব সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কফি, চা, ধূমপান, অস্বাস্থ্যকর খাবার বা বয়সের কারণে দাঁতে হলদে ভাব দেখা দেয়। অনেকে ডেন্টিস্টের কাছে গিয়ে দাঁতের হলুদ দাগছোপ পরিষ্কার করান।
তবে আপনি চাইলে ঘরে বসেই দূর করতে পারেন দাঁতের হলুদ দাগছোপ। জেনে নিন কী উপায়ে তা সম্ভব।
বেকিং সোডা
বেকিং সোডা দাঁতের পৃষ্ঠে জমে থাকা দাগ ও প্লাক দূর করতে সাহায্য করে। সপ্তাহে ১-২ বার বেকিং সোডা ও পানির পেস্ট তৈরি করে দাঁত ব্রাশ করলে উপকার পাবেন।
আপেল সাইডার ভিনেগার
পানির সঙ্গে আপেল সাইডার ভিনেগার পাতলা করে মিশিয়ে গার্গল করলে দাঁতের দাগ কিছুটা কমতে পারে।
তবে বেশি ব্যবহারে দাঁতের এনামেল ক্ষতির আশঙ্কা থাকে।
হাইড্রোজেন পারক্সাইড
এটি দাঁতের হালকা ব্লিচ হিসেবে কাজ করে এবং দাগ পরিষ্কার করে। তবে সরাসরি ব্যবহার না করে পানির সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করতে হবে এবং কোনোভাবেই বেশি ব্যবহার করা যাবে না।
লেবু বা ফলের খোসা ব্যবহার
লেবু বা টক জাতীয় ফলের খোসার ভেতরের অংশ দিয়ে দাঁত হালকা ঘষে নেওয়া যায়। তবে এর এসিডিক প্রকৃতি বেশি হলে দাঁতের এনামেল ক্ষয় হতে পারে। তাই অতিরিক্ত ব্যবহার এড়িয়ে চলুন।
তেল দিয়ে কুলকুচি
নারকেল, তিল বা সূর্যমুখীর তেল মুখে ১৫-২০ মিনিট কুলকুচি করলে মুখের ব্যাকটেরিয়া ও প্লাক কমে দাঁত পরিষ্কার হয়।
এসব উপায় উপকারী হলেও অতিরিক্ত ব্যবহার করা উচিত নয়। সপ্তাহে ১-২ বার ব্যবহারই যথেষ্ট। না হলে দাঁতের সংবেদনশীলতা বাড়তে পারে। সেক্ষেত্রে নিয়মিত ব্রাশ করা, মাউথওয়াশ ব্যবহার এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার কম খাওয়া-এই অভ্যাসগুলো দাঁতকে দীর্ঘদিন সাদা রাখতে সাহায্য করে।
একইসঙ্গে এই ঘরোয়া টোটকা শুধু দাঁতের ওপরিভাগের দাগ দূর করে, ভেতরের দাগের জন্য তেমন কার্যকর নয়। তবে দাঁতের কোনো নির্দিষ্ট সমস্যা হলে অবশ্যই দন্ত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।