বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল আগামী ৪ অক্টোবর। তবে সেটি দুইদিন পিছিয়ে আগামী ৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আজ রোববার তফসিল ঘোষণা করেছে বিসিবি। পরিচালক নির্বাচন শেষে ফলাফল ঘোষণার পর ওইদিনই সভাপতি ও সহ-সভাপতি নির্বাচন করা হবে।
বিসিবিতে পরিচালক পদে লড়তে হলে আগে কাউন্সিলর হতে হয়। বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে থাকা কাউন্সিলরদের ভোটে ২৫ জন পরিচালক নির্বাচিত করা হয়। সেই পরিচালকদের ভোটে পরে সভাপতি ও সভাপতি নির্বাচন করা হয়ে থাকে। গত কয়েকটি বিসিবি নির্বাচনে কাউন্সিলদের সংখ্যা ছিল ১৭০ জনের পাশেপাশে। তবে এবার ভোটারের সংখ্যা বাড়বে।
চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করেছিল বিসিবি। যেখানে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব দেওয়া হয় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হোসেনকে। এরপর আজ রোববার আসন্ন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। যেখানে মনোনয়ন সংগ্রহ ও জমা দেওয়ার সময়সূচি উল্লেখ করা হয়েছে।
একনজরে বিসিবি নির্বাচনের তফসিল:
২২ সেপ্টেম্বর – খসড়া ভোটার তালিকা
২৩ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত-আপত্তি গ্রহণ
২৪ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত -আপত্তির উপর শুনানি
২৫ সেপ্টেম্বর বিকাল সাড়ে ৪টা ৩০ পর্যন্ত- চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ
২৬ সেপ্টেম্বর -মনোনয়নপত্র বিতরণ
২৮ সেপ্টেম্বর-মনোনয়নপত্র দাখিল
২৯ সেপ্টেম্বর-যাচাই-বাছাই ও বৈধ প্রার্থীর তালিকা
৩০ সেপ্টেম্বর-আপিল ও শুনানি
১ অক্টোবর-প্রার্থিতা প্রত্যাহার ও বৈধ প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকা
৬ অক্টোবর-পোস্টাল ও ই-ব্যালট বিতরণ
৬ অক্টোবর-নির্বাচন ও ফলাফল
বিসিবির পরিচালনা পর্ষদ গঠিত হবে কাউন্সিলরদের ভোটের মাধ্যমে। বিসিবির গঠনতন্ত্রে ১৭১ জন কাউন্সিলরের ৭৬ জনই ঢাকার ক্লাব থেকে আসেন। আবার বোর্ডের ২৫ সদস্যের মধ্যে ১২ জন আসেন ক্লাব ক্রিকেট থেকে। বিভাগীয় ও আঞ্চলিক পর্যায় থেকে আসেন ১০ জন। এরপর নির্বাচিত পরিচালকদের ভোটে বিসিবির সভাপতি বেছে নেওয়া হবে।
এবার নতুন করে বেশ কয়েকজন বিসিবির পরিচালক পদে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। এর মধ্যে তামিম ইকবাল এবং বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল হেভিওয়েট প্রার্থী। বিসিবির সভাপতি পদেও তারা লড়বেন বলে শোনা যাচ্ছে। এ ছাড়া তাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদও।