চেম্বার আদালত সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) নির্বাচনে জেলা ও বিভাগীয় এডহক কমিটি থেকে কাউন্সিলর চেয়ে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের চিঠির কার্যক্রম স্থগিতের হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন।
হাইকোর্টে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি শেষে চেম্বার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এই স্থগিতাদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষের পক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ, এবং বিসিবির আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহিন এম রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে হাইকোর্ট জেলা ও বিভাগীয় এডহক কমিটি থেকে কাউন্সিলর চেয়ে বিসিবি সভাপতির চিঠি স্থগিত করেছিলেন। সেই সঙ্গে হাইকোর্ট রুল জারি করে জানতে চেয়েছিল, চিঠি কি অবৈধ না বৈধ। এই আদেশ দেওয়া হয়েছিল বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চের মাধ্যমে।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
চিঠির বিস্তারিত
গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিসিবি নির্বাচনে জেলা ও বিভাগীয় এডহক কমিটি থেকে কাউন্সিলর চেয়ে চিঠি দেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের গঠনতন্ত্র (২০২৪ সালে সংশোধিত) অনুযায়ী একটি সাধারণ পরিষদ গঠন এবং নির্বাচন-২০২৫ আয়োজনের জন্য সাধারণ পরিষদের মধ্যে বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার (ক্যাটাগরি-১) ‘কাউন্সিলর’-এর নাম মনোনয়নের কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, বোর্ড সূত্রে ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে রেজিস্ট্রার্ড ডাকযোগে এবং ২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে কুরিয়ারযোগে একটি পত্র, কাউন্সিলর মনোনয়ন মূল ফরম এবং গঠনতন্ত্রের কপি সংশ্লিষ্ট জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি/আহ্বায়ক বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে।
পরবর্তীতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগও ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের গঠনতন্ত্র (২০২৪ সালে সংশোধিত) অনুযায়ী কাউন্সিলর মনোনয়ন প্রদানের ক্ষেত্রে বিশেষ নির্দেশনা প্রদান করে। বিশেষ করে অনুচ্ছেদ ৯.১ এর (ক) এবং (খ) ধারা যথাযথভাবে অনুসরণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।
এই আদেশের ফলে বিসিবি নির্বাচনে প্রশাসনিক প্রক্রিয়া ও কাউন্সিলর মনোনয়ন কার্যক্রম এখন বৈধভাবে এগোতে পারবে।