আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এক লাখ সেনা সদস্য মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। বর্তমানে মাঠে থাকা প্রায় ৩০ হাজার সদস্য ছাড়াও সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী একযোগে কাজ করবে বলে জানান তিনি।
চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে ২৪ সেপ্টেম্বর (বুধবার) আয়োজিত এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এসব তথ্য জানান। সভায় চট্টগ্রাম বিভাগের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশ নেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “নির্বাচন শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর নির্ভর করে না, এটি নির্ভর করে জনগণের ওপর। জনগণই আসল শক্তি। রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যমত্যে পৌঁছাতে পারলে একটি সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব।”
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন চলাকালে মাঠে থাকবে— সেনাবাহিনী, পুলিশ, আনসার, বিজিবি, কোস্টগার্ড, প্রশাসনের অন্যান্য সদস্যরা।
সন্ত্রাসীদের হাতে থাকা অবৈধ অস্ত্র নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, “পুলিশ ইতোমধ্যে অনেক অস্ত্র উদ্ধার করেছে। কিছু অস্ত্র এখনো বাইরে রয়েছে, তবে নির্বাচন-পূর্ব সময়ে আরও অস্ত্র উদ্ধার হবে।”
ঢাকা ও চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল সম্পর্কে তিনি বলেন, আজ ঢাকায় মিছিল হয়েছে, আমরা চেষ্টা করছি তাদের আইনের আওতায় আনতে। তারা যেন সহজে জামিন না পায়, সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে।”
গুজব প্রতিরোধে গণমাধ্যমের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আপনারা যদি সত্য ঘটনা প্রচার করেন, তবে গুজব ছড়ানোর সুযোগ কমে যাবে। ডিসি ও এসপিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সত্য তথ্য গণমাধ্যমে দিতে।”
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন, “এবারের দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর হবে। ধর্মীয় পবিত্রতা রক্ষায় সব ধর্মের মানুষের সহযোগিতা কামনা করছি।”
মিয়ানমার সীমান্ত ও মাদক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “মিয়ানমার সীমান্তে এখন সেনা নেই, আরাকান আর্মি পুরো নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। সীমান্ত দিয়ে প্রচুর মাদক আসছে। ফোর্স বাড়ানো হয়েছে, মাদক সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনা হবে।”
রোহিঙ্গা ইস্যুতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশ কোনো হুমকির মুখে নেই। আমরা চাই যত দ্রুত সম্ভব তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হোক।”