জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)কে তাদের দলীয় প্রতীক চয়ন করার জন্য ৫০টি প্রতীকের তালিকা পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) ইসি সচিবালয়ের নির্বাচন সহায়তা শাখার উপ-সচিব মো. রফিকুল ইসলাম এ সংক্রান্ত চিঠি দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে প্রেরণ করেন।
তবে ইসির ওই তালিকায় শাপলা প্রতীক অন্তর্ভুক্ত নেই। অথচ দলটির পক্ষ থেকে বারবার দাবি করা হয়েছিল যে, শাপলা প্রতীকেই তাদের নিবন্ধন দিতে হবে। আবেদনপত্রে প্রথমে পছন্দের ক্রমে শাপলা, কলম ও মোবাইল ফোন উল্লেখ করা হলেও পরে সংশোধন করে শাপলা, লাল শাপলা বা সাদা শাপলা প্রতীক দাবি করা হয়।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা ২০০৮-এর বিধি ৯ (১) অনুযায়ী শাপলা প্রতীক সংরক্ষিত তালিকায় নেই। তাই নিবন্ধনের জন্য এনসিপিকে সংরক্ষিত প্রতীক তালিকা থেকে যেকোনও একটি বাছাই করতে হবে। দলটি আগামী ৭ অক্টোবরের মধ্যে লিখিতভাবে তাদের পছন্দের প্রতীক নির্বাচন কমিশনকে জানাতে হবে।
এনসিপিকে দেওয়া ৫০ প্রতীকের তালিকা
ইসির পাঠানো তালিকায় রয়েছে— আলমারি, খাট, উটপাখি, ঘুড়ি, কাপ-পিরিচ, চশমা, দালান, বেগুন, চার্জার লাইট, কম্পিউটার, জগ, জাহাজ, টিউবওয়েল, টিফিন ক্যারিয়ার, টেবিল, টেবিল ঘড়ি, টেলিফোন, ফ্রিজ, তবলা, বক, মোরগ, কলম, তরমুজ, বাঁশি, লাউ, কলস, চিংড়ি, থালা, বেঞ্চ, লিচু, দোলনা, প্রজাপতি, বেলুন, ফুটবল, ফুলের টব, মোড়া, বালতি, কলা, বৈদ্যুতিক পাখা, মগ, মাইক, ময়ূর, মোবাইল ফোন, শঙ্খ, সেলাই মেশিন, সোফা, স্যুটকেস, হরিণ, হাঁস ও হেলিকপ্টার।
ইসি ও এনসিপির অবস্থান
ইসি কর্মকর্তারা জানান, সংরক্ষিত প্রতীকের তালিকায় শাপলা না থাকায় সেটি দেওয়া সম্ভব নয়। কমিশনের ১১৫টি প্রতীকের তালিকার বাইরে কোনও প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার সুযোগ নেই।
অন্যদিকে, এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরউদ্দীন পাটওয়ারী গত ২২ সেপ্টেম্বর বলেন— “আমরা শাপলা, সাদা শাপলা অথবা লাল শাপলা প্রতীক ছাড়া অন্য কিছু চাই না। এর মাধ্যমেই আমাদের নিবন্ধন হতে হবে। এর বাইরে কিছু হলে সেটা হবে ষড়যন্ত্র।”
এদিকে ইসি সচিব গত ২৩ সেপ্টেম্বর স্পষ্ট করে বলেছেন, “শাপলা প্রতীক কমিশনের সংরক্ষিত তালিকায় নেই। তাই জাতীয় নাগরিক পার্টি শাপলা প্রতীক পাবে না।”