বছরের প্রথম সুপারমুন দেখার জন্য প্রস্তুত থাকতে পারেন আগ্রহীরা। সোমবার রাতে চাঁদকে স্বাভাবিকের চেয়ে সামান্য বড় এবং উজ্জ্বল দেখাবে। আর এটাই জ্যোতির্বিজ্ঞানের জগতে ‘সুপারমুন’ নামে পরিচিত।
অক্টোবর মাসের এই মহাজাগতিক ঘটনাটি চলতি বছরের তিনটি সুপারমুনের মধ্যে প্রথম। চাঁদ যখন তার কক্ষপথে পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি অবস্থানে থেকে পূর্ণিমার রূপ নেয়, তখন ঘটে সুপারমুন।
এ সময় চাঁদ সাধারণ সময়ের তুলনায় ১৪ শতাংশ পর্যন্ত বড় এবং প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি উজ্জ্বল দেখা যায়। এই সূক্ষ্ম পার্থক্য বছরে কয়েকবার ঘটে এবং কখনো কখনো এটি চন্দ্রগ্রহণের মতো অন্যান্য জ্যোতির্বিজ্ঞানের ঘটনার সঙ্গেও মিলে যায়।
আকাশ পরিষ্কার থাকলে পৃথিবীর সব জায়গা থেকেই বিশেষ কোনো সরঞ্জাম ছাড়াই সুপারমুন দেখা সম্ভব। তবে এই পার্থক্যটি চিহ্নিত করা কিছুটা কঠিন হতে পারে। বিশেষ করে মানুষ যদি এর আগের রাতের স্বাভাবিক চাঁদ পর্যবেক্ষণ না করে থাকে।
এইবারের পর্যবেক্ষণে চাঁদ পৃথিবী থেকে প্রায় ২,২৪,৬০০ মাইল (৩,৬১,৪৫৯ কিলোমিটার) দূরত্বের মধ্যে দিয়ে যাবে। বছরের সবচেয়ে নিকটতম সুপারমুনটি হবে নভেম্বরে, এবং এর পরে ডিসেম্বরে আরও একটি সুপারমুন দেখা যাবে।
২০২৬ সালেও মহাজাগতিক দৃশ্যাবলী অব্যাহত থাকবে। সেই বছর দুটি চন্দ্রগ্রহণ হবে মার্চের পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ উত্তর আমেরিকা, এশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়ার বিশাল অংশ জুড়ে দেখা যাবে।
আগস্টে হবে আরেকটি আংশিক চন্দ্রগ্রহণ। আমেরিকা, আফ্রিকা ও ইউরোপের কিছু অঞ্চলে দৃশ্যমান হবে সে ঘটনা।