এ বছরের শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জিতেছেন ভেনেজুয়েলার রাজনৈতিক নেত্রী ও মানবাধিকার কর্মী মারিয়া কোরিনা মাচাদো। বাংলাদেশ সময় শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বিকেল ৩টার পর নরওয়ের রাজধানী অসলোতে আনুষ্ঠানিকভাবে তার নাম ঘোষণা করে নোবেল কমিটি।
কমিটির ঘোষণায় জানানো হয়, ভেনেজুয়েলার জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় সাহসী ও অবিচল ভূমিকা রাখার জন্য এবং স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে ন্যায়ভিত্তিক ও শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক রূপান্তরে দীর্ঘদিনের সংগ্রামের স্বীকৃতি হিসেবেই মাচাদোকে শান্তিতে নোবেল দেওয়া হয়েছে।
নোবেল কমিটি আরও বলেছে, অহিংস প্রতিরোধ এবং গণতন্ত্রের জন্য অবিচল সংগ্রামের মাধ্যমে মারিয়া কোরিনা মাচাদো শুধু ভেনেজুয়েলার জনগণের নয়, বরং সারা বিশ্বের গণতন্ত্রকামী মানুষের জন্য এক অনন্য প্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছেন।
এর আগে, ২০২৪ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিল জাপানের অ্যান্টি-নিউক্লিয়ার সংগঠন নিহন হিদানকিয়ো, যারা হিরোশিমা ও নাগাসাকির ভয়াবহ বোমা হামলার পর বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের নিয়ে তৃণমূল আন্দোলন চালাচ্ছে।
২০২৩ সালে এ পুরস্কার পান ইরানের মানবাধিকার কর্মী নার্গিস মোহাম্মাদি। ইরানি নারীদের নিপীড়নের বিরুদ্ধে আন্দোলন এবং মানবাধিকার ও স্বাধীনতার জন্য নিরলস সংগ্রামের স্বীকৃতি হিসেবে তাকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।
২০২২ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন বেলারুশের মানবাধিকার আইনজীবী আলেস বিলিয়াতস্কি, রুশ মানবাধিকার সংগঠন মেমোরিয়াল এবং ইউক্রেনীয় সংস্থা সেন্টার ফর সিভিল লিবার্টিজ।
২০২১ সালে সাংবাদিকতার স্বাধীনতার পক্ষে দুঃসাহসী ভূমিকার জন্য শান্তিতে নোবেল পান ফিলিপাইনের সাংবাদিক মারিয়া রেসা এবং রাশিয়ার সাংবাদিক দিমিত্রি মুরাতভ।
ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি তিনবার শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছে রেড ক্রস (১৯১৭, ১৯৪৪ ও ১৯৬৩ সালে)। এছাড়া জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর দু’বার (১৯৫৪ ও ১৯৮১ সালে) এই পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে।